রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় এক ওঝার অপচিকিৎসায় প্রাণ যেতে বসেছে জোসনা বেগম নামের ৪৫ বছর বয়সী এক গৃহবধুর। জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুকের সময় আগুন লেগে শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধুকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ভোলা সদর থানার ওসি মো. ছগির মিঞা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জড়িত অন্যদের আটকে অভিযানে চলছে। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই গ্রামে প্রবাসী জসীম এর স্ত্রী জোসনা বেগমকে গত বৃহস্পতিবার রাতে জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুকের সময় আগুন ধরিয়ে দেয় শিশু ওঝা রুনা। বর্তমানে গৃহবধূ মত্যুার সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আহতের মা মাহফুজা জানান, কিছুদিন ধরে তার মেয়ে জোসনা বেগম (৪৫) অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এটাকে জ্বীনের আছর মনে তারা পাশ্বর্¦বর্তী গ্রামের ওঝা বেলায়েত হোসেন ও তার নাতনি শিশু ওঝা খ্যাত রুনা বেগমকে (১৩ বছর বয়সী)কে দেখায়। বৃহস্পতিবার রাতে শিশু ওঝা রুনা বেগম জোসনা বেগমের গায়ে কেরসিন মেখে আগরবাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে ঝাড় ফুকের এক পর্যায়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে রাতেই জোসনা বেগমকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে আনার আগেই তার শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ ঝলসে যায়। সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ শুক্রবার বিকালে অভিযান চালিয়ে ওঝা বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী অহিদা বেগমকে আটক করেছে।
জোসনা বেগম এর মেয়ে সাথী আক্তার জানায়, আমার মা অসুস্থ থাকায় শিশু খলিফাকে আনা হয়। উনি ঝাড়-ফুকের সময় আগুন লাগিয়ে দেয় আমার মায়ের শরীরে। আমরা এই ঘটনার জন্য দোষী রুনার শাস্তি দাবি করেন। তবে এই ঘটনায় শিশু ওঝা রুনা জড়িত নয় বলে দাবী করছে তার নানা-নানী।
ভোলা সদর থানার ওসি মো. ছগির মিঞা জানিয়েছেন, সদর থানার এসআই সাহবুল জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জড়িত অন্যদের আটকে অভিযানে চলছে। অগ্নিদগ্ধ জোসনার বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘারহাট এলাকায়। ৪ সন্তানের জননী জোসনার স্বামী মো. জসিম সৌদি প্রবাসী।
Leave a Reply